মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান (১১-১২-২০২২)
হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, আগে থেকেই ফ্রান্সে যিনা ও ব্যভিচারের ব্যাপক প্রসার ও প্রচলন ছিল। এখন বিনামূল্যে তরুণ তরুণীদের মধ্যে কনডম ও জন্মনিরোধক ব্যবস্থা বিতরণের কারণে যিনা ও ব্যভিচারের আরো ভয়াবহ প্রসার হবে ।
কনডম ইত্যাদির উচ্চ মূল্য থাকায় বহু ফরাসী কন্ডম না কিনে প্রোটেকশন ছাড়াই অবৈধ যৌন ক্রিয়া কলাপ অর্থাৎ যিনা ও ব্যভিচারে লিপ্ত হয় বলেই গত বছরে যৌন ব্যাধিতে আক্রান্তদের সংখ্যা এ দেশে পূর্ববর্তী বছরগুলোর চেয়ে ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফ্রান্সে বহু শিশু বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে জন্ম গ্রহণ করে অর্থাৎ অবৈধ যৌন সম্পর্কের ফসল (জারজ বাস্টার্ড হারামজাদা)। দেশটির তরুণ - তরুণী এবং প্রায় সকল বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে অবাধ অবৈধ যৌন সম্পর্ক ও কার্যকলাপ ( যিনা-ব্যভিচার ) ডাল ভাত স্বরূপ । সম্ভবত : ডাল - ভাত খাওয়ার চাইতেও তা অধিক সহজ ।
ফরাসী প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে ফ্রান্সে যিনা ব্যাভিচার সর্বজনে বহুল প্রচলিত এবং ফরাসী সমাজ হচ্ছে একটা ব্যভিচারী ইতর বদমাইশ হারামজাদা লুচ্চা লম্পট অসভ্য অশালীন সমাজ । আর যিনা ব্যভিচার বিবেক - বুদ্ধি ( আকল ) , নীতি নৈতিকতা ( আখলাক) ও ইসলাম ধর্মের দৃষ্টিতে চরম ভয়ংকর কবীরাহ গুনাহ ( মহাপাপ ) সমূহের অন্তর্ভুক্ত যার জন্য ইসলামী শরিয়তে কঠোর দণ্ড বিধান ( হদ্দ ) রয়েছে।
অবিবাহিত যিনাকারী নরনারীকে ( ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিনী ) ১০০ ঘা চাবুক মারা এবং যিনাকারী নরনারী বিবাহিত ( মুহস্বিন - মুহস্বিনা مُحْصِنٌ وَ مُحْصِنَةٌ) হলে রজম ( প্রস্তর নিক্ষেপ করে হত্যা ) করার বিধান রয়েছে শরিয়তে ।
ফ্রান্সের মতোই পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থা । গোটা পাশ্চাত্যই আসলে ব্যভিচারী ও যিনাকারী ( অবৈধ অবাধ যৌন সম্পর্ক চর্চা কারী ) । আর এ কারণেই পাশ্চাত্য বা পশ্চিমা দেশগুলো হারামজাদা জারজ বাস্টার্ড জাতি ও দেশ ছাড়া আর কিছুই নয়। বৈধ অবৈধ (জারজ) হারামজাদাদের দিয়ে পাশ্চাত্য একাকার হয়ে আছে।
পশ্চিমারা হয় প্রত্যক্ষ জারজ বাস্টার্ড সন্তান অথবা জারজ বাস্টার্ড ব্যক্তিদের সন্তান ও বংশধর । হয়তো সেখানে জনগণের অতি নগণ্য সংখ্যক অংশের বংশীয় ও জন্মগত শুচিতা ও বিশুদ্ধতা থাকতে পারে। অবস্থা এতটাই খারাপ ও সঙ্গিন যে গোটা পশ্চিমা দেশ ও সমাজ গুলো জারজ হারামজাদা বেহায়া নির্লজ্জ অসভ্য অশালীন অশুচি দেশ ও সমাজেই পর্যবসিত হয়েছে। আর পশ্চিমাদের হারামজাদা জারজ বললে তারা মোটেও অসন্তুষ্ট হয় না বরং কারো হালালজাদা ( বৈধ সন্তান ) হওয়ার কথা শুনলেই তারা বহুত অবাক ও আশ্চর্যান্বিত হয় । আর
পাশ্চাত্যে হারামজাদা হওয়াটাই নিতান্ত সহজ ও স্বাভাবিক বরং সেখানে হালালজাদা হওয়া খুবই অস্বাভাবিক ও দুষ্কর ( তবে পাশ্চাত্যে বসবাসরত অধিকাংশ মুসলমান এর ব্যতিক্রম ) ! তাই পশ্চিমাদেরকে নির্দ্বিধায় হারামজাদা বলা যায় এবং তা গালি বলে গণ্য হবে না । এখানে পশ্চিমা বলতে ইউরোপ , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা , নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার বিধর্মী অমুসলিম শ্বেতাঙ্গ এবং অমুসলিম অশ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী ।
এ সব হারামজাদার পক্ষে যে কোনো ধরণের দুর্নীতি , অপরাধ ও পাপ সংঘটন একান্ত স্বাভাবিক এবং এরা সব ধরণের অপরাধ করেও থাকে । কারণ
এ সব লম্পট বদমাইশ লুচ্চা ব্যভিচারী হারামজাদা এতটাই নির্লজ্জ , বেহায়া , উচ্ছৃঙ্খল, অসভ্য , অশালীন যে এরফলে তারা যে কোনো ধরনের পাপ , অন্যায় ও অপরাধ করতে বিন্দুমাত্র লজ্জা পায় না এবং দ্বিধাগ্রস্ত ও পিছপা হয় না। আর এ জন্যই এ সব ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ পৃথিবীর যেখানেই পদার্পণ করেছে বা করে সেখানেই তারা লুণ্ঠন ,ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ও চালায় ।
সমগ্র বিশ্বে তারা কোটি কোটি মানুষ হত্যা করেছে এবং তারা গোটা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় রেড ইন্ডিয়ান ও আদিবাসীদের মেরে কেটে একদম নির্মুল ও খতম করে দিয়েছে। এই স্বভাব - চরিত্র ও খাসলত এখনো পশ্চিমাদের মধ্যে বিদ্যমান। ২০০১ ও ২০০৩ সালে আফগানিস্তান ও ইরাক জবরদখল করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ন্যাটো মিলিয়ন মিলিয়ন ইরাকী ও আফগান জনগণকে হত্যা করেছে।
অপশ্চিমা দেশগুলোর সহায় সম্পদ ও অর্থ অবৈধ ভাবে পাচার হয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যাংক সমূহ ও অর্থনীতিতে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুর্নীতি পরায়ণ রাজনৈতিক নেতা , ব্যবসায়ী এবং সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তারা অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ ও সম্পদ পশ্চিমা দেশগুলোয় পাচার ও বিনিয়োগ করে সেগুলো তারা সাদা অর্থ ও সম্পদে পরিণত করছে পশ্চিমাদের সাহায্য, সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় । ব্যস তাহলে প্রমাণিত হল বেহায়া , নির্লজ্জ , লুচ্চা লম্পট ব্যভিচারী যিনাকারী পশ্চিমারা কত বড় বাটপার , চোর ডাকাত , জালেম , অপরাধী ও দুর্নীতি পরায়ণ এবং তাদের দ্বারা যে কোন ধরণের দুর্নীতি, দুষ্কর্ম ও অপরাধ সম্ভব !!!
আর এখন পাশ্চাত্য যৌন বিকৃতি ও উন্মাদনার চরম তুঙ্গে রয়েছে। তাই পাশ্চাত্য বা পশ্চিমারা হচ্ছে হাইপার সেক্সুয়াল ( অত্যধিক / মাত্রাতিরিক্ত যৌনতা তাড়িত ) দেশ ও সমাজ । তাই পশ্চিমাদেরকে ( পাশ্চাত্য) যৌন পাগল ও উন্মাদ এবং যৌন ভাবে বিকৃত ও বিকারগ্রস্ত বললে মোটেও অত্যুক্তি হবে না।